ছেলের হাতে মা খুন
প্রতিক্ষণ ডেস্ক
ছুরিকাঘাতে আহত হওয়ার পর থেকেই রেহানা আক্তার (৪০) পরিবারের সদস্যদের জানান, ডাকাতের হামলায় জখম হয়েছেন তিনি। যদিও তার অসংলগ্ন বক্তব্য কেউই তখন বিশ্বাস করেননি।
শুক্রবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় রেহানা আক্তারের। রেহানা আক্তার মিরপুরের বড়বাগ এলাকার মতিউর রহমানের স্ত্রী।
নাম গোপন রাখার শর্তে তার এক আত্মীয় সাংবাদিকদের জানান, গত ২ নভেম্বর রাত দেড়টার দিকে বাসার ভেতরে জখম অবস্থায় উদ্ধার করা হয় রেহানাকে। প্রথমে মিরপুরের গ্যালাক্সি হাসপাতালে নেওয়া হয়, সেখানে অবস্থার অবনতি হলে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং সব শেষে ওইদিন ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।
ঢামেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আইসিইউতে মারা যান তিনি। পরে জানা যায়, ডাকাত নয় ছেলের ছুরিকাঘাতে জখম হয়েছিলেন রেহানা আক্তার। তবে কারণ সম্পর্কে কিছু জানাতে পারেননি ওই আত্মীয়।
তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে মেডিকেল ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ পরিদর্শক মোজাম্মেল হক জানান, রেহানা আক্তার ধারালো সস্ত্রের আঘাতে জখম হয়ে ২ নভেম্বর ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি হন। কীভাবে আহত হয়েছিলেন জানতে চাওয়া হলে প্রাথমিকভাবে তিনি জানান, ডাকাতের ছুরিকাঘাতে জখম হন।
তবে অসংলগ্ন কথা শুনে তার পরিবারের সদস্যরাও বিশ্বাস করেননি বিষয়টা। পরে জানা যায়, ছেলের ছুরিকাঘাতে তিনি জখম হয়েছিলেন।
প্রতিক্ষণ/এডি/বিএ